আমার অন্তরাই আমার কলিজাই (Fakir Durbin Shah)
মারিয়া ভুজঙ্গতীর কলিজা
করিল চওচির
কেমন শিকারি তীর মারিল গো
বিষ মাকাইয়া তীরের মুখে
মারিল তীর আমার বুকে
দেহ তুইয়া প্রাণটি লইয়া
যাই
আমার অন্তরাই আমার কলিজাই
২
প্রেমও সেল বিন্দিল বুখে
মরি হাই হাই
আমার অন্তরাই আমার কলিজাই
প্রথমও যোবনের বেলা আমারে
পাইয়া অবলা
প্রেম শিকাইয়া গেল ছাইড়া
গেল গো
জালাইজে প্রেমের আগুন জল
দিলে তা বারে দ্বিগুণ ২
এখন আমি কি করি উপায়
আমার অন্তরাই আমার কলিজাই
২
প্রেমও সেল বিন্দিল বুখে
প্রেমও সেল বিন্দিল বুখে
মরি হাই হাই
আমার অন্তরাই আমার কলিজাই
ইট কামলা ইট বানাইয়া
মাঝখানে ভাটা সাজাইয়া
চারদিখে আগুন লাগাইয়া দিল
গো ২
ভিতরে পুরিয়া সারা মাটি
হইয়া যাই আঙ্গারা ২
কেন এমন দশা হইল আমার
বেলাই
আমার অন্তরাই আমার কলিজাই
২
প্রেমও সেল বিন্দিল বুখে
প্রেমও সেল বিন্দিল বুখে
মরি হাই হাই
আমার অন্তরাই আমার কলিজাই
নমাজ আমার হইল না
আদায় (Fakir Durbin Sha)
নমাজ আমার হইল না
আদায়
নমাজ আমি পড়তে পারলাম না,
দারুণ খান্নাছের দায়।।
নমাজ আমি পড়তে পারলাম না,
দারুণ খান্নাছের দায়।।
ফজরের নমাজের কালে,
ছিলাম আমি ঘুমের ঘোরে
জোহর গেলো আইতে-যাইতে,
আছর গেল কামের দায়।।
ছিলাম আমি ঘুমের ঘোরে
জোহর গেলো আইতে-যাইতে,
আছর গেল কামের দায়।।
মাগরিবের নমাজের কালে,
গিয়াছিলাম গোয়ালঘরে
গাভী রইলো হাওরেতে,
বাছুর আমার বান্ধা নায়।।
গিয়াছিলাম গোয়ালঘরে
গাভী রইলো হাওরেতে,
বাছুর আমার বান্ধা নায়।।
এশার নমাজ কালে,
বিবি বলে চাউল ফুরাইছে
ছেলে মেয়ের কান্দন শুনে,
কান্দে পাগল দুর্বিন শায়।।
আল্লা ভব সমুদ্ রে (হাছন রাজা )বিবি বলে চাউল ফুরাইছে
ছেলে মেয়ের কান্দন শুনে,
কান্দে পাগল দুর্বিন শায়।।
আল্লা ভব সমুদ্ রে আল্লা ভব সমুদ্
রে তরাইয়া লও মোরে |
তরান বরান চাই না আমি কেবল চাই তোরে ||
তরাই মার যাই কর এর লাগি কে ঝুরে |
হাছন রাজার মনের সাধ দেখিত তোমারে ||
চিত্তে কেন তোমার লাগি সদায় ধড়ফড় করে |
হাছন রাজার মনে কেবল থাকত তোর হুজুরে ||
না চাই ধন, না চাই জন, না চাই জমিদারি |
হাছন রাজার মনোবাঞ্ছা থাকত চরণ ধরি ||
পূর্ণ কর আকাঙ্খা প্রভু, ভক্তি করি তোরে |
পদতলে রাখ আশিক হাছন রাজারে ||
তরান বরান চাই না আমি কেবল চাই তোরে ||
তরাই মার যাই কর এর লাগি কে ঝুরে |
হাছন রাজার মনের সাধ দেখিত তোমারে ||
চিত্তে কেন তোমার লাগি সদায় ধড়ফড় করে |
হাছন রাজার মনে কেবল থাকত তোর হুজুরে ||
না চাই ধন, না চাই জন, না চাই জমিদারি |
হাছন রাজার মনোবাঞ্ছা থাকত চরণ ধরি ||
পূর্ণ কর আকাঙ্খা প্রভু, ভক্তি করি তোরে |
পদতলে রাখ আশিক হাছন রাজারে ||
আমি
না লইলাম আল্লাজির নাম (হাছন রাজা )
না কইলাম তার কাম |
বৃথা কাজে হাছন রাজায় দিন গুয়াইলাম ||
ভবের কাজে মত্ত হইয়া দিন গেল গইয়া |
আপন কার্য না করিলাম, রহিলাম ভুলিয়া ||
নাম লইব নাম লইব করিয়া আয়ু হইল শেষ |
এখনও না করিলাম প্রাণ বন্ধের উদ্দেশ ||
আশয় বিষয় পাইয়া হাছন (তুমি) কর জমিদারি |
চিরকাল থাকিবেনি হাছনরাজা লক্ষ্মণছিরি ||
কান্দে কান্দে হাছন রাজা, কী হবে উপায় |
হাসরের দিন যখন পুছিবে খোদায় ||
ছাড় ছাড় হাছন রাজা, এই ভবের আশ |
(কেবল) এক মনে চিন্তা কর, হইতাম বন্ধের দাস ||
বিচার করি চাইয়া দেখি সকলেই আমি (হাছন রাজা )বৃথা কাজে হাছন রাজায় দিন গুয়াইলাম ||
ভবের কাজে মত্ত হইয়া দিন গেল গইয়া |
আপন কার্য না করিলাম, রহিলাম ভুলিয়া ||
নাম লইব নাম লইব করিয়া আয়ু হইল শেষ |
এখনও না করিলাম প্রাণ বন্ধের উদ্দেশ ||
আশয় বিষয় পাইয়া হাছন (তুমি) কর জমিদারি |
চিরকাল থাকিবেনি হাছনরাজা লক্ষ্মণছিরি ||
কান্দে কান্দে হাছন রাজা, কী হবে উপায় |
হাসরের দিন যখন পুছিবে খোদায় ||
ছাড় ছাড় হাছন রাজা, এই ভবের আশ |
(কেবল) এক মনে চিন্তা কর, হইতাম বন্ধের দাস ||
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে (হাছন রাজা )
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে
বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
মায়ে বাপে কইরা বন্দী
খুশিরও মাজারে
মায়ে বাপে কইরা বন্দী খুশিরও মাজারে
লালে ধলায় হইলাম বন্দী পিঞ্জিরার ভিতরে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
মায়ে বাপে কইরা বন্দী খুশিরও মাজারে
লালে ধলায় হইলাম বন্দী পিঞ্জিরার ভিতরে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে
বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায়
ছটফট ছটফট করে
পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায় ছটফট ছটফট করে
মজবুতও পিঞ্জিরা ময়নায় ভাঙ্গিতে না পারে রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায় ছটফট ছটফট করে
মজবুতও পিঞ্জিরা ময়নায় ভাঙ্গিতে না পারে রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
উড়িয়া যাইব সুয়া পাখি পইরা
রইব কায়া
উড়িয়া যাইব সুয়া পাখি পইরা রইব কায়া
কিসের দেশ কিসের খেশ কিসের মায়া দয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
উড়িয়া যাইব সুয়া পাখি পইরা রইব কায়া
কিসের দেশ কিসের খেশ কিসের মায়া দয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
হাছন রাজায় ডাকতো যখন ময়না
আয় রে আয়
হাছন রাজা ডাকতো যখন ময়না আয় রে আয়
এমনও নিষ্ঠুরও ময়না আর কি ফিরা চায় রে
হাছন রাজা ডাকতো যখন ময়না আয় রে আয়
এমনও নিষ্ঠুরও ময়না আর কি ফিরা চায় রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া
রে
সোনা মামি ! সোনা মামি গো ! আমারে
করিলায় বদনামি ।।
আমি হইতে আল্লা রছুল, আমি হইতে কুল ।
পাগলা হাছন রাজা বলে, তাতে নাই ভুল ।।
আমা হইতে আসমান জমিন আমি হইতেই সব ।
আমি হইতে ত্রিজগত্, আমি হইতে সব ।।
আমি হইতে সাউয়াল, আমি আখের জাহের বাতিন ।
না বুঝিয়া দেশের লোকে, বাসে মোরে ভিন ।।
আমা হইতে পয়দা হইছে, এই ত্রিজগত্ ।
গউর করি চাইয়া দেখ হে, আমারও মত ।।
আক্কল হইতে পয়দা হইল মাবুদ আল্লার ।
বিশ্বাসে করিল পয়দা, রছুল উল্লার ।।
মম আঁখি হইতে পয়দা, আসমান জমিন ।
কর্ণ হইতে পয়দা হইছে, মুসলমানী দিন ।।
আর পয়দা করিল যে, শুনিবারে যত ।
সবদ, সাবদ, আওয়াজ ইত্যাদি যে কত ।।
শরীরে করিল পয়দা, শক্ত আর নরম ।
আর পয়দা করিয়াছে ঠাণ্ডা আর গরম ।।
নাকে পয়দা করিয়াছে খুশবয় আর বদবয় ।
আমি হইতে সব উত্পত্তি হাছন রাজা কয় ।।
মরণ জীয়ন নাইরে আমার ভাবিয়া দেখ ভাই ।
ঘর ভাঙ্গিয়া ঘর বানানি এই দেখিতে পাই ।।
পাগল হইয়া হাছন রাজা কিসেতে কি কয় ।
মরব মরব দেশের লোক মোর কথা যদি লয় ।।
জিহ্বায় বানাইয়া আছে মিঠা আর তিতা ।
জীবের মরণ নাই রে দেখ সর্বদাই জীতা ।।
আপন চিনিলে দেখ খোদা চিনা যায় ।
হাছন রাজায় আপন চিনিয়ে এই গান গায় ।।
করিলায় বদনামি ।।
আমি হইতে আল্লা রছুল, আমি হইতে কুল ।
পাগলা হাছন রাজা বলে, তাতে নাই ভুল ।।
আমা হইতে আসমান জমিন আমি হইতেই সব ।
আমি হইতে ত্রিজগত্, আমি হইতে সব ।।
আমি হইতে সাউয়াল, আমি আখের জাহের বাতিন ।
না বুঝিয়া দেশের লোকে, বাসে মোরে ভিন ।।
আমা হইতে পয়দা হইছে, এই ত্রিজগত্ ।
গউর করি চাইয়া দেখ হে, আমারও মত ।।
আক্কল হইতে পয়দা হইল মাবুদ আল্লার ।
বিশ্বাসে করিল পয়দা, রছুল উল্লার ।।
মম আঁখি হইতে পয়দা, আসমান জমিন ।
কর্ণ হইতে পয়দা হইছে, মুসলমানী দিন ।।
আর পয়দা করিল যে, শুনিবারে যত ।
সবদ, সাবদ, আওয়াজ ইত্যাদি যে কত ।।
শরীরে করিল পয়দা, শক্ত আর নরম ।
আর পয়দা করিয়াছে ঠাণ্ডা আর গরম ।।
নাকে পয়দা করিয়াছে খুশবয় আর বদবয় ।
আমি হইতে সব উত্পত্তি হাছন রাজা কয় ।।
মরণ জীয়ন নাইরে আমার ভাবিয়া দেখ ভাই ।
ঘর ভাঙ্গিয়া ঘর বানানি এই দেখিতে পাই ।।
পাগল হইয়া হাছন রাজা কিসেতে কি কয় ।
মরব মরব দেশের লোক মোর কথা যদি লয় ।।
জিহ্বায় বানাইয়া আছে মিঠা আর তিতা ।
জীবের মরণ নাই রে দেখ সর্বদাই জীতা ।।
আপন চিনিলে দেখ খোদা চিনা যায় ।
হাছন রাজায় আপন চিনিয়ে এই গান গায় ।।
রঙ্গিয়া রঙ্গে
আমি মজিয়াছি রে (হাছন রাজা )
রঙ্গিয়া রঙ্গে আমি মজিয়াছি রে |
মজিয়াছি রে, আমি ডুবিয়াছি রে ||
আরশি পড়শী যাই চল, যাইমু বন্ধের সনে রে |
কিবা ক্ষণে গিয়াছিলাম সুর্মা নদীর গাঙ্গে ||
বন্ধে মোরে ভুলাইল, রঙ্গে আর ঢঙ্গে রে ||
হাটিয়া যাইতে খসিয়া যায় বন্ধে অঙ্গে, অঙ্গে |
ধনকড়ি তোর কিছু চায় না, যৌবন কেবল মাঙ্গে রে |
হাছন রাজায় নাচন করে প্রেমেরি তরঙ্গে |
পাইলে কখন ছাড়িবে না, এই মনে পাঙ্গে রে ||
মজিয়াছি রে, আমি ডুবিয়াছি রে ||
আরশি পড়শী যাই চল, যাইমু বন্ধের সনে রে |
কিবা ক্ষণে গিয়াছিলাম সুর্মা নদীর গাঙ্গে ||
বন্ধে মোরে ভুলাইল, রঙ্গে আর ঢঙ্গে রে ||
হাটিয়া যাইতে খসিয়া যায় বন্ধে অঙ্গে, অঙ্গে |
ধনকড়ি তোর কিছু চায় না, যৌবন কেবল মাঙ্গে রে |
হাছন রাজায় নাচন করে প্রেমেরি তরঙ্গে |
পাইলে কখন ছাড়িবে না, এই মনে পাঙ্গে রে ||
লোকে বলে বলেরে (হাছন রাজা )
লোকে বলে বলেরে
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।
ভালা কইরা ঘর বানাইয়া
কয়দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি
পাকনা চুল আমার।।
এ ভাবিয়া হাসন রাজা
ঘর-দুয়ার না বান্ধে
কোথায় নিয়া রাখব আল্লায়
তাই ভাবিয়া কান্দে।।
জানত যদি হাসন রাজা
বাঁচব কতদিন
বানাইত দালান-কোঠা
করিয়া রঙিন।।
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।
ভালা কইরা ঘর বানাইয়া
কয়দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি
পাকনা চুল আমার।।
এ ভাবিয়া হাসন রাজা
ঘর-দুয়ার না বান্ধে
কোথায় নিয়া রাখব আল্লায়
তাই ভাবিয়া কান্দে।।
জানত যদি হাসন রাজা
বাঁচব কতদিন
বানাইত দালান-কোঠা
করিয়া রঙিন।।
এগো মইলা (হাছন রাজা )
এগো মইলা, তোমার লাগিয়ে হাছন রাজা বাউলা |
ভাবতে ভাবতে হাছন রাজা হইল এমন আউলা ||
ভাবতে ভাবতে হাছন রাজা হইল এমন আউলা ||
দিনে রাইতে উঠে মনে, প্রেমানলের শওলা |
আর কত সহিব প্রাণে, তুই বন্ধের জ্বালা ||
আর কত সহিব প্রাণে, তুই বন্ধের জ্বালা ||
সোনার রং অঙ্গ আমার, হইয়াছে রে কালা |
অন্তরে বাহিরে আমার জ্বলিয়ে রহিল কয়লা ||
অন্তরে বাহিরে আমার জ্বলিয়ে রহিল কয়লা ||
লোকে বলে হাছন রাজা হইল রে আজুলা |
হাতে তলি দিয়া গিল্লা, করেরে কট মুল্লা ||
হাতে তলি দিয়া গিল্লা, করেরে কট মুল্লা ||
আজুলা হইয়া হাছন রাজায় বলে আল্লা |
বারে বারে বলে, লাইলাহা ইল্লাল্লা |
নাচে নাচে হাছন রাজা হইয়া ফানা ফিল্লা ||
বারে বারে বলে, লাইলাহা ইল্লাল্লা |
নাচে নাচে হাছন রাজা হইয়া ফানা ফিল্লা ||
আমি মরিয়া পাই যদি, শ্যামের রাঙ্গা চরণ (হাছন রাজা )
(আরে) তবে সে রঙ্গিনী রাধার সাফল্য জীবন ||
মরিয়া মরিয়া যদি, শ্যামের লাগাল পাই |
রাঙ্গা চরণে ধরি জনম গোওয়াই ||
ছাড়াইলে না ছাড়িমু, ধরিমু চরণ |
যাহা করে জগন্নাথ, জগত্ মোহন ||
হাছন রাজায় বলে জান যাইবে যখন |
সে সময় দেখতে চাই যুগল চরণ ||
মরিয়া মরিয়া যদি, শ্যামের লাগাল পাই |
রাঙ্গা চরণে ধরি জনম গোওয়াই ||
ছাড়াইলে না ছাড়িমু, ধরিমু চরণ |
যাহা করে জগন্নাথ, জগত্ মোহন ||
হাছন রাজায় বলে জান যাইবে যখন |
সে সময় দেখতে চাই যুগল চরণ ||
আমি তোমার কাঙ্গালী গো সুন্দরী রাধা (হাছন রাজা )
আমি তোমার কাঙ্গালী গো সুন্দরী
রাধা,
আমি তোমার কাঙ্গালী গো |
তোমার লাগিয়া কন্দিয়া ফিরে,
হাছন রাজা কাঙ্গালী গো ||
আমি তোমার কাঙ্গালী গো |
তোমার লাগিয়া কন্দিয়া ফিরে,
হাছন রাজা কাঙ্গালী গো ||
তোমার প্রেমে হাছন রাজার, মনে
হুতাশন |
একবার আসি হৃদকমলে, করয়ে আসন ||
একবার আসি হৃদকমলে, করয়ে আসন ||
আইস আউস প্রাণ প্রিয়সী ধরি তোমার
পায় |
তোমায় না দেখিলে আমার, জ্বলিয়ে প্রাণ যায় ||
তোমায় না দেখিলে আমার, জ্বলিয়ে প্রাণ যায় ||
ছট্ ফট্ করে হাছন, তোমার কারণ
|
ত্বরা করি না আসিলে হইব মরণ ||
ত্বরা করি না আসিলে হইব মরণ ||
কান্দে কান্দে হাছন রাজা পড়ে
আছাড় খাইয়া |
শীঘ্র করি প্রাণ প্রিয়সী, কোলে লও উঠাইয়া ||
শীঘ্র করি প্রাণ প্রিয়সী, কোলে লও উঠাইয়া ||
কোলে ঠান্ডা হইব, হাছন রাজার
হিয়া |
সব দুঃখ পাসরিব, চান্দ মুখ দেখিয়া ||
সব দুঃখ পাসরিব, চান্দ মুখ দেখিয়া ||
হিন্দুয়ে বলে তোমায় রাধা, আমি
বলি খোদা |
রাধা বলিয়া ডাকিলে, মুল্লা মুন্সিয়ে দেয় বাধা ||
রাধা বলিয়া ডাকিলে, মুল্লা মুন্সিয়ে দেয় বাধা ||
হাছন রাজা বলে আমি, না রাখিব
যুদা |
মুল্লা মুন্সির কথা যত সকলই বেহুদা ||
মুল্লা মুন্সির কথা যত সকলই বেহুদা ||
কোন মিস্তরি নাও বানাইলো
(শাহ আব্দুল করিম)
কোন মিস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
চন্দ্র-সুর্য বান্ধা আছে নায়েরই আগায়
দূরবীনে দেখিয়া পথ মাঝি মাল্লায় বায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
দূরবীনে দেখিয়া পথ মাঝি মাল্লায় বায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
রঙ-বেরঙের যত নৌকা
ভবের তলায় আয়
রঙ বেরঙের সারি গাইয়া
ভাটি বাইয়া যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
ভবের তলায় আয়
রঙ বেরঙের সারি গাইয়া
ভাটি বাইয়া যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
হারা-জিতা ছুবের বেলা
কার পানে কে চায়?
মদন-মাঝি বড় পাজি
কত নাও ডুবায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
কার পানে কে চায়?
মদন-মাঝি বড় পাজি
কত নাও ডুবায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
কোন মিস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
বাউল আব্দুল করিম বলে
বুঝে উঠা দায়
কোথা হইতে আসে নৌকা
কোথায় চলে যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
বুঝে উঠা দায়
কোথা হইতে আসে নৌকা
কোথায় চলে যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
কোন মিস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
ঝিলমিল-ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু (শাহ আব্দুল করিম)
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখিব তর মন
আমার আপন ঘরে বাদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখিব তর মন
আমার আপন ঘরে বাদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
পাড়া পড়শী বাদী আমার
বাদী কালন নদী
মরম-জ্বালা সইতে না’রি
দিবানিশি কাঁদি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
বাদী কালন নদী
মরম-জ্বালা সইতে না’রি
দিবানিশি কাঁদি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কারে কি বলিব আমি
নিজে অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
নিজে অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
বাউল আব্দুল করিম বলে
হল এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে ঔষধি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
হল এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে ঔষধি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
ভাবিলে কি হবে গো (শাহ আব্দুল করিম)
ভাবিলে
কি হবে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
জাতি কুল যৌবন দিয়াছি
প্রাণ যাবে তার কাছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
যা হইবার তা হইয়া গেছে
জাতি কুল যৌবন দিয়াছি
প্রাণ যাবে তার কাছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
কালার
সনে প্রেম করিয়া
কাল-নাগে দংশিছে
ঝাইড়া বিষ নামাইতে পারে
এমন কি কেউ আছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
কাল-নাগে দংশিছে
ঝাইড়া বিষ নামাইতে পারে
এমন কি কেউ আছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
পীড়িত
পীড়িত সবাই বলে
পীড়িত যে কইরাছে
পীড়িত কইরা জ্বইলা-পুইড়া
কতজন যে মরছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
পীড়িত যে কইরাছে
পীড়িত কইরা জ্বইলা-পুইড়া
কতজন যে মরছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
আগুনের
তুলনা হয়না
প্রেম আগুনের কাছে
নিভাইলে নিভেনা আগুন
কি কইরা প্রাণ বাঁচে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
প্রেম আগুনের কাছে
নিভাইলে নিভেনা আগুন
কি কইরা প্রাণ বাঁচে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
বলে
বলুক লোকে মন্দ
কুলের ভয় কি আছে
আব্দুল করিম জিতে-মরা
বন্ধু পাইলে বাঁচে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
কুলের ভয় কি আছে
আব্দুল করিম জিতে-মরা
বন্ধু পাইলে বাঁচে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই
না (শাহ আব্দুল করিম)
দিবা-নিশি ভাবি যারে
তারে যদি পাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
তারে যদি পাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
বন্ধুর প্রেমে পাগলিনী
শান্তি নাই দিন-রজনী
কুলহারা কলঙ্কিনী
কারও কাছে যাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
শান্তি নাই দিন-রজনী
কুলহারা কলঙ্কিনী
কারও কাছে যাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
প্রাণ-বন্ধের সঙ্গ নিলাম
ভালোবেসে মনও দিলাম
পুর্বেই যাহা ভেবেছিলাম
এখন ভাবি তাই না!
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
ভালোবেসে মনও দিলাম
পুর্বেই যাহা ভেবেছিলাম
এখন ভাবি তাই না!
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
আসি বলে গেলো চলে
ভাসি সদাই নয়ন-জলে
বাউল আব্দুল করিম বলে
রঙ্গের গান আর গাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
ভাসি সদাই নয়ন-জলে
বাউল আব্দুল করিম বলে
রঙ্গের গান আর গাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
পুবালী বাতাসে (উকিল মুনশি )
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে
পুবালী বাতাসে-
বাদাম দেইখ্যা, চাইয়া থাকি
আমার নি কেউ আসে রে।।
যেদিন হতে নতুন পানি
আসল বাড়ির ঘাটে
অভাগিনীর মনে কত শত কথা উঠে
রে।।
কত
আসে কত যায় রে
নায় নাইওরির নৌকা
মায়ে ঝিয়ে বইনে বইনে
হইতেছে যে দেখা রে।।
আমি
যে ছিলাম ভাই রে
বাপের গলায় ফাঁস
আমারে যে দিয়া গেল
সীতা বনবাস রে।।
আমারে
নিল না নাইওর
পানি হইতে তাজা
দিনের পথ আধলে যাইতাম
রাস্তা হইত সোজা রে।।
ভাগ্য
যাহার ভাল নাইওর
যাইবে আষাঢ় মাসে
উকিলেরই হইবে নাইওর
কার্তিক মাসের শেষে রে।।
আমার গায়ে যত দুঃখ সয় (বারী সিদ্দিকী)
আমার গায়ে যত দুঃখ সয় (বারী সিদ্দিকী)
আমার গায়ে যত দুঃখ
সয়
বন্ধুয়া রে করো তোমার মনে যাহা লয়।।
বন্ধুয়া রে করো তোমার মনে যাহা লয়।।
নিঠুর বন্ধু রে, বলেছিলে আমার হবে
মন দিয়াছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিলনা সেসময়।
সাক্ষী শুধু চন্দ্র-তারা,
একদিন তুমি পড়বে ধরা রে বন্ধু
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয়।।
মন দিয়াছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিলনা সেসময়।
সাক্ষী শুধু চন্দ্র-তারা,
একদিন তুমি পড়বে ধরা রে বন্ধু
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয়।।
নিঠুর বন্ধু রে, দুঃখ দিয়া হিয়ার ভিতর
একদিনও না লইলে খবর
এইকি তোমার প্রেমের পরিচয় ও বন্ধুরে।
কি জানি কি আশা দিয়া
কেন বা প্রেম শিখাইলা রে বন্ধু
দূরে থাকা উচিত কি আর হয়।।
একদিনও না লইলে খবর
এইকি তোমার প্রেমের পরিচয় ও বন্ধুরে।
কি জানি কি আশা দিয়া
কেন বা প্রেম শিখাইলা রে বন্ধু
দূরে থাকা উচিত কি আর হয়।।
(পাষাণ
বন্ধুরে) নিঠুর বন্ধুরে, বিচ্ছেদের বাজারে গিয়া
তোমার প্রেম বিকি দিয়া
করব না প্রেম আর যদি কেউ কয় ও বন্ধুরে।
উকিলের হয়েছে জানা
কেবলই সুরের কারখানা রে বন্ধু
চোরে চোরে বেওয়াইয়ালা হয়।।
তোমার আমার এই পিরিতি
সুয়া উড়িলো উড়িলো ( ফকির শীতালং শাহ )
তোমার প্রেম বিকি দিয়া
করব না প্রেম আর যদি কেউ কয় ও বন্ধুরে।
উকিলের হয়েছে জানা
কেবলই সুরের কারখানা রে বন্ধু
চোরে চোরে বেওয়াইয়ালা হয়।।
এই পৃথিবী যেমনি আছে (বারী
সিদ্দিকী )
এই পৃথিবী যেমনি আছে
তেমনি ঠিক রবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
সেই নগত তলব তাগিত পত্র নেমে আসবে যবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে ।।
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
সেই নগত তলব তাগিত পত্র নেমে আসবে যবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে ।।
হোক না কেন যত বড়
রাজা-জমিদার
পাকা-বাড়ি ঝুঁড়ি-গাড়ি ঘড়ি-ট্রেনজিষ্টার
তখন থাকবেনা আর কোন অধিকার বিষয়-বৈভয় ভবে ।।
পাকা-বাড়ি ঝুঁড়ি-গাড়ি ঘড়ি-ট্রেনজিষ্টার
তখন থাকবেনা আর কোন অধিকার বিষয়-বৈভয় ভবে ।।
চন্দ্র-সূর্য
গ্রহ-তারা আকাশ-বাতাস জল
যেমন আছে তেমনি সবি রইবে অবিকল
মাত্র আমি আর রইব না কেবল জনপূর্ণ ভবে ।।
যেমন আছে তেমনি সবি রইবে অবিকল
মাত্র আমি আর রইব না কেবল জনপূর্ণ ভবে ।।
শব্দ-স্পর্শ রূপ-রস
গন্ধ বন্ধ হলে যেন
এই পৃথিবীর অস্তিত্ববোধ রইবেনা আর হেন
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পরবে কবে ।।
এই পৃথিবীর অস্তিত্ববোধ রইবেনা আর হেন
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পরবে কবে ।।
শুয়াচান
পাখি
(বারী সিদ্দিকী )
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।।
তুমি আমি জনম ভরা
ছিলাম মাখামাখি,
আজ কেন হইলে নীরব
মেলো দুটি আঁখি।।
বুলবুলি আর তোতা ময়না
কত নামে ডাকি,
তোরে কত নামে ডাকি
শিকল ভেঙ্গে চলে গেলে
কারে লইয়া থাকি।।
তোমার আমার এই পিরিতি
চর্ন্দ্র সূর্য্য
সাক্ষী,
হঠাত করে চলে গেলে
বুঝলাম না চালাকিরে
পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি
ঘুমাইছ নাকি।।
সুয়া উড়িলো উড়িলো ( ফকির শীতালং শাহ )
সুয়া উড়িলো উড়িলো
জীবেরও জীবন
সুয়া উড়িলো রে.........
লা-মোকামে ছিলাই সুয়া
আনন্দিত মন,
ভবে আসি পিঞ্জিরাতে
হইলা বন্ধন।।
পিঞ্জিরা থাকিয়া কইরলা
প্রেমেরও সাধন,
(হায় আল্লাহ) এখনো ছাড়িয়া যাইতে
না লাগে বেদন।।
তুমি নিজ দেশে যাইবে পাখি
ফুরিলে মেয়াদ
তোমার পিঞ্জিরা রহিবে খালি
হইয়া বরবাদ......।।
লা-মোকামে যাওরে পাখী
করিয়া গমন,
(হায়রে) পিঞ্জিরা যে কান্দে তোর
প্রেমেরও কারণ।।
শোনো শীতালং ফকিরে বলে
মনে আলাপন
আরে যাওয়ার সময়
যাও পাঙ্খি দিয়া দরশন।।
সুয়া উড়িলো উড়িলো
জীবেরও জীবন
সুয়া উড়িলো রে।।
ও সুয়া উড়িলো রে।।
জীবেরও জীবন
সুয়া উড়িলো রে.........
লা-মোকামে ছিলাই সুয়া
আনন্দিত মন,
ভবে আসি পিঞ্জিরাতে
হইলা বন্ধন।।
পিঞ্জিরা থাকিয়া কইরলা
প্রেমেরও সাধন,
(হায় আল্লাহ) এখনো ছাড়িয়া যাইতে
না লাগে বেদন।।
তুমি নিজ দেশে যাইবে পাখি
ফুরিলে মেয়াদ
তোমার পিঞ্জিরা রহিবে খালি
হইয়া বরবাদ......।।
লা-মোকামে যাওরে পাখী
করিয়া গমন,
(হায়রে) পিঞ্জিরা যে কান্দে তোর
প্রেমেরও কারণ।।
শোনো শীতালং ফকিরে বলে
মনে আলাপন
আরে যাওয়ার সময়
যাও পাঙ্খি দিয়া দরশন।।
সুয়া উড়িলো উড়িলো
জীবেরও জীবন
সুয়া উড়িলো রে।।
ও সুয়া উড়িলো রে।।
একদিন মাটির ভিতরে (বাউল মুনীর সরকার)
একদিন মাটির ভিতরে
হবে ঘর রে মন আমার
প্রান পাখি ওরে যাবে
পিঞ্জর ছেড়ে
ধরা ধামে সবি রবে
তুমি যাবে চলে
বন্ধু বান্ধব যত
মাতা পিতা তারা সুত
সকলি হবে পর
রে মন আমার
কেন বান্ধ দালান ঘর
দেহ তোমর চর্মচর
গলে পচে যাবে
শিরার ওপর শিরা গুলি
ছিন্ন ভিন্ন হবে
মন্ডু মেরুদন্ড
সবি হবে খন্ড খন্ড
পরে রবে মাটিরো ওপর
রে মন আমার
কেন বান্ধদালান ঘর
রুপেরি গৌরবে
সাজিয়াছ সাজ
সোন দানা কতা কি আর
রাজকিয় পোশাক
যেদিন প্রন চালে যাবে
সবি পরে রবে
গায়ে দিবে মার কিনুথন
রে মন আমমার
কেন বান্ধ দালান ঘর
মসজিদ মন্দিরে জেতে
বলনা আমায় (শফি মণ্ডল)
আমি মন মন্দিরে পূজা
দেব
সত্যম শিবম অনন্তম
আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব
আল্লাহ হু-আকবর … হু-আকবর।।
আমি মন মন্দিরে পূজা দেব
পড়ব নামাজ দেল কাবায়
মসজিদ মন্দিরে জেতে বলনা আমায়
তোমরা মন্দির মসজিদে যেতে বলনা আমায়।।
সত্যম শিবম অনন্তম
আমি দেল কাবাতে নামাজ পড়ব
আল্লাহ হু-আকবর … হু-আকবর।।
আমি মন মন্দিরে পূজা দেব
পড়ব নামাজ দেল কাবায়
মসজিদ মন্দিরে জেতে বলনা আমায়
তোমরা মন্দির মসজিদে যেতে বলনা আমায়।।
মানুষ যদি আদম সন্তান
সৃষ্টি একজনার
তবে ভিন্ন ভিন্ন ঘর হবে কেন ভিন্ন কেন আচার।।
আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ…
আপন করলো পথ আমায়।।
তবে ভিন্ন ভিন্ন ঘর হবে কেন ভিন্ন কেন আচার।।
আমি ঘর হারা এক পথের মানুষ…
আপন করলো পথ আমায়।।
আরে জন্ম দেখি মরণ দেখি
তাঁরে দেখি না
অদৃশ্য তার প্রেমের বলি আমরা ক’জনা।।
জগত জুড়ে রক্ত সাগর…
কারে পায় কে বয়ে যায়।।
অদৃশ্য তার প্রেমের বলি আমরা ক’জনা।।
জগত জুড়ে রক্ত সাগর…
কারে পায় কে বয়ে যায়।।
No comments:
Post a Comment